জন্ম থেকে দুই হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছেন না, তাই জসিম মাতুব্বরকে দেওয়া যাচ্ছে না জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। শুধু পা দিয়ে লিখে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এইচএসসি পাস করে তিনি এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় বিভিন্ন কাজ-কর্ম ও সরকারি-বেসরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, জসিম মাতুব্বর ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বর ও তসিরণ বেগম দম্পতির সন্তান। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। জন্ম থেকে দুটি হাত নেই জসিমের। তবে পা দিয়েই পড়াশোনাসহ প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করতে পারেন তিনি। পা দিয়ে লিখে জসিমের পড়াশোনা ও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। জসিম এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তবে সম্প্রতি তার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি। তিন বছর ধরে চেষ্টা করেও এটি তিনি পাননি। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিভিন্ন কাজে থমকে যেতে হচ্ছে জসিমকে। বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে।
জন্ম থেকেই জসিমের দুটি হাত নেই, পা দিয়েই চলছে লেখাপড়া ও দৈনন্দিন কাজকর্ম। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি করছেন ব্যবসা। কখনো ফলের ব্যবসা আবার কখনো কাঁচামালের ব্যবসা। জসিম মাতুব্বর ২০১৬ সালে একটি ভ্যানগাড়ি এবং ২০২২ সালে ৬০ হাজার পুরস্কার পান তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। যা জসিমের জীবন চলার পথকে আরও বেগবান করে তোলে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নিজের জন্মনিবন্ধন থাকলেও দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য। কিন্তু হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছেন না জসিম।
পিআর নির্বাচন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: ডা. জাহিদ হোসেন
আক্ষেপ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী জসিম মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, আমার দুটি হাত নেই, পা দিয়ে লিখে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছি। এখন আমি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অনেক সময় কলেজের কাজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে বা সেবা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের দরকার হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসে অনেকবার আবেদন করেছি। কিন্তু হাত নেই বলে আঙুলের ছাপ দিতে পারছি না। এই কারণে নাকি জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সাল থেকে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। তারা আমাকে অনলাইনে আবেদন করতে বলেছিলেন। একাধিকবার আবেদনও জমা দিয়েছি কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এখন আর যাই না, হাল ছেড়ে দিয়েছি।
জানতে চাইলে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাওন সাগর বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। যেহেতু ছেলেটির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, কাজেই তার এনআইডি কার্ডটি করে দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। জসিম মাতুব্বর আমার কাছে এলে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে কাজটি করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, জসিম মাতুব্বর ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বর ও তসিরণ বেগম দম্পতির সন্তান। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। জন্ম থেকে দুটি হাত নেই জসিমের। তবে পা দিয়েই পড়াশোনাসহ প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করতে পারেন তিনি। পা দিয়ে লিখে জসিমের পড়াশোনা ও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। জসিম এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তবে সম্প্রতি তার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি। তিন বছর ধরে চেষ্টা করেও এটি তিনি পাননি। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিভিন্ন কাজে থমকে যেতে হচ্ছে জসিমকে। বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে।
জন্ম থেকেই জসিমের দুটি হাত নেই, পা দিয়েই চলছে লেখাপড়া ও দৈনন্দিন কাজকর্ম। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি করছেন ব্যবসা। কখনো ফলের ব্যবসা আবার কখনো কাঁচামালের ব্যবসা। জসিম মাতুব্বর ২০১৬ সালে একটি ভ্যানগাড়ি এবং ২০২২ সালে ৬০ হাজার পুরস্কার পান তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। যা জসিমের জীবন চলার পথকে আরও বেগবান করে তোলে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নিজের জন্মনিবন্ধন থাকলেও দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য। কিন্তু হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছেন না জসিম।
পিআর নির্বাচন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: ডা. জাহিদ হোসেন
আক্ষেপ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী জসিম মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, আমার দুটি হাত নেই, পা দিয়ে লিখে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছি। এখন আমি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অনেক সময় কলেজের কাজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে বা সেবা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের দরকার হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসে অনেকবার আবেদন করেছি। কিন্তু হাত নেই বলে আঙুলের ছাপ দিতে পারছি না। এই কারণে নাকি জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সাল থেকে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। তারা আমাকে অনলাইনে আবেদন করতে বলেছিলেন। একাধিকবার আবেদনও জমা দিয়েছি কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এখন আর যাই না, হাল ছেড়ে দিয়েছি।
জানতে চাইলে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাওন সাগর বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। যেহেতু ছেলেটির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, কাজেই তার এনআইডি কার্ডটি করে দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। জসিম মাতুব্বর আমার কাছে এলে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে কাজটি করে দেওয়া হবে।